এবার ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ড্রোন ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রোববার (১৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ হয়েছে। ইরান ইসরাইলের হামলা চালানোর পর এই দুই নেতার মধ্যে এটাই প্রথম ফোনালাপ। এক বিবৃতিতে ইসরাইলে ইরানের হামলার শক্ত ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন বাইডেন।
বিবৃতিতে তেল আবিবকে ওয়াশিংটনের লোহবর্মের মতো সুরক্ষা দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেন বাইডেন। এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী এবং তাদের কোনো স্থাপনা ইরানের লক্ষ্যবস্তু না হলেও সমস্ত হুমকির বিরুদ্ধে সতর্ক রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের দিক থেকে আসা সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে। গত সপ্তাহে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন জানিয়ে বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, মোতায়েনকৃত ব্যবস্থা ও আমাদের দক্ষ সেনা সদস্যদের ধন্যবাদ, আমরা ধেঁয়ে আসা প্রায় সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছি।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ উচ্চপদস্থ সাত কর্মকর্তা নিহত হন। সে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এ হামলায় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ইয়েমেনের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি।
এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরাইলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জাননো হয়। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব হামলা চালানো হয়।